বঁধুর কোলেতে বধুয়া ঘুমায়, খোলেনি বাহুর বাঁধ, দীঘির জলেতে নাহিয়া নাহিয়া মেটেনি তারার সাধ। ঘরে ফিরে যাও সোনার কিশোর! এ পাপমথুরাপুরী, তোমার সোনার অঙ্গেতে দেবে বিষবান ছুঁড়ি ছুঁড়ি। সেই ব্রজধূলি আজো ত মুছেনি তোমার সোনার গায়, কেন তবে ভাই, চরণ বাড়ালে যৌবন মথুরায়! কারে ভালবাস, কারে যে বাস না তোমরা শেখনি তাহা, আমাদের মত কামনার ফাঁদে চেননি উহু ও আহা! সেথায় তোমার কিশোরী বধূটি মাটির প্রদীপ ধরি, তুলসীর মূলে প্রণাম যে আঁকে হয়ত তোমারে স্মরি।
হেথা যৌবন যত কিছু এর খাতায় লিখিয়া লয়, পান হতে চুন খসেনাক-এমনি হিসাবময়। তোমাদের সেই ব্রজের ধূলায় প্রেমের বেলাতি হয়, সেথা কেউ তার মূল্য জানে না, এই বড় বিস্ময়। রঙের কুহেলী তলে, তোমার জীবন ঊষার আকাশে শিশু রবি সম জ্বলে। এখনো গোপন আঁধারের তলে আলোকের শতদল, মেঘে মেঘে লেগে বরণে বরণে করিতেছে টলমল। ডাকে কেয়াবনে ফুল-মঞ্জরি ঘন-দেয়া সম্পাতে, মাটির বুকেতে তমাল তাহার ফুল-বাহুখানি পাতে।
হায়রে কিশোর হায়! ফুলের পরাণ বিকাতে এসেছ এই পাপ-মথুরায়। সেথায় তোমার কিশোরী বধূটি মাটির প্রদীপ ধরি, তুলসীর মূলে প্রণাম যে আঁকে হয়ত তোমারে স্মরি। আজো নাকি সেই বাঁশীর রাজাটি তমাল-লতার ফাঁদে, চরণ জড়ায়ে নূপুর হারায়ে পথের ধূলায় কাঁদে এখনো গোপন আঁধারের তলে আলোকের শতদল, মেঘে মেঘে লেগে বরণে বরণে করিতেছে টলমল। ওপারে কিশোর, এপারে যুবক, রাজার দেউল বাড়ি, পাষাণের দেশে কেন এলে ভাই। রাখালের দেশ ছাড়ি?
তরুণ কিশোর ছেলে, আমরা আজিকে ভাবিয়া না পাই তুমি হেথা কেন এলে? কে এলে তবে ভাই, সোনার গোকুল আঁধার করিয়া এই মথুরার ঠাই। হেথা যৌবন যত কিছু এর খাতায় লিখিয়া লয়, পান হতে চুন খসেনাক-এমনি হিসাবময়। তরুণ কিশোর ছেলে, আমরা আজিকে ভাবিয়া না পাই তুমি হেথা কেন এলে? আজো কানে গোঁজ শিরীষ কুসুম কিংশুক-মঞ্জরী, অলকে বাঁধিয়া পাটল ফুলেতে ভরে লও উত্তরী!
তরুণ কিশোর! তোমার জীবনে সবে এ ভোরের বেলা, ভোরের বাতাস ভোরের কুসুমে জুড়েছে রঙের খেলা। আজো নাকি সেই বাঁশীর রাজাটি তমাল-লতার ফাঁদে, চরণ জড়ায়ে নূপুর হারায়ে পথের ধূলায় কাঁদে তোমাদের সেই ব্রজের ধূলায় প্রেমের বেলাতি হয়, সেথা কেউ তার মূল্য জানে না, এই বড় বিস্ময়। কারে ভালবাস, কারে যে বাস না তোমরা শেখনি তাহা, আমাদের মত কামনার ফাঁদে চেননি উহু ও আহা! হয়ত তাহাও জানে না সে মেয়ে জানে না কুসুম-হার, এত যে আদরে গাঁথিছে সে তাহা গলায় দোলাবে কার?
আজো নাকি সেই বাঁশীর রাজাটি তমাল-লতার ফাঁদে, চরণ জড়ায়ে নূপুর হারায়ে পথের ধূলায় কাঁদে মোদের মথুরা টরমল করে পাপ-লালসার ভারে, ভোগের সমিধ জ্বালিয়া আমরা পুড়িতেছি বারে বারে। কারে ভালবাস, কারে যে বাস না তোমরা শেখনি তাহা, আমাদের মত কামনার ফাঁদে চেননি উহু ও আহা! মোদের মথুরা টরমল করে পাপ-লালসার ভারে, ভোগের সমিধ জ্বালিয়া আমরা পুড়িতেছি বারে বারে। এখনো বসিয়া সেঁউতীর মালা গাঁথিছে ভোরের তারা, ঊষার রঙিন শাড়ীখানি তার বুনান হয়নি সারা।
এখনো গোপন আঁধারের তলে আলোকের শতদল, মেঘে মেঘে লেগে বরণে বরণে করিতেছে টলমল। বিহগ ছাড়িয়া ভোরের ভজন আহারের সন্ধ্যানে, বাতাসে বাঁধিয়া পাখা-সেতু-বাঁধ ছুটিবে সুদুর-পানে। হেথা যৌবন মেলিয়া ধরিয়া জমা-খরচের খাতা, লাভ লেকাসান নিতেছে বুঝিয়া খুলিয়া পাতায় পাতা। তরুণ কিশোর! তোমার জীবনে সবে এ ভোরের বেলা, ভোরের বাতাস ভোরের কুসুমে জুড়েছে রঙের খেলা। এখনো বসিয়া সেঁউতীর মালা গাঁথিছে ভোরের তারা, ঊষার রঙিন শাড়ীখানি তার বুনান হয়নি সারা।
কে এলে তবে ভাই, সোনার গোকুল আঁধার করিয়া এই মথুরার ঠাই। ডাকে কেয়াবনে ফুল-মঞ্জরি ঘন-দেয়া সম্পাতে, মাটির বুকেতে তমাল তাহার ফুল-বাহুখানি পাতে। কে এলে তবে ভাই, সোনার গোকুল আঁধার করিয়া এই মথুরার ঠাই। আজো কানে গোঁজ শিরীষ কুসুম কিংশুক-মঞ্জরী, অলকে বাঁধিয়া পাটল ফুলেতে ভরে লও উত্তরী! ডাকে কেয়াবনে ফুল-মঞ্জরি ঘন-দেয়া সম্পাতে, মাটির বুকেতে তমাল তাহার ফুল-বাহুখানি পাতে।
কালিন্দী লতা গলায় জড়ায়ে সোনার গোকুল কাঁদে ব্রজের দুলাল বাঁধা নাহি পড়ে যেন মথুরার ফাঁদে। তুমি ভাই সেই ব্রজের রাখাল, পাতার মুকুট পরি, তোমাদের রাজা আজো নাকি খেলে গেঁয়ো মাঠখানি ভরি। আজিও চেননি সোনার আদর, চেননি মুক্তাহার, হাসি মুখে তাই সোনা ঝরে পড়ে তোমাদের যারতার। হয়ত তাহারি অলকে বাঁধিতে মাঠের কুসুম ফুল, কতদূর পথ ঘুরিয়া মরিছ কত পথ করি ভুল। শূন্য হাওয়ার শূন্য ভরিতে বুকখানি করি শুনো, ফুলের দেউল হবে না উজাড় আজিকে প্রভাতে পুন।